সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে লিবারেল নেতা জাস্টিন ট্রুডোকে। সোমবারও কিছু বিক্ষোভকারী তাকে উদ্দেশ্য করে পাথরের টুকরো ছুঁড়ে মারেন। তবে জাস্টিন ট্রুডো এদেরকে ‘ভ্যাকসিন বিরোধী জনতা’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, তাদের দাবি অনুযায়ী মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার নীতি গ্রহণ করা হবে না।
লেবার ডেতে সোমবার অন্টারিওর ওয়েল্যান্ডের একটি স্টিল কারখানায় এই মন্তব্য করেন তিনি। ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে লিবারেল পার্টি জয়লাভ করলে শ্রমিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মহামারি সহায়তা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রুডো।
লিবারেল নেতা যখন স্টিল প্ল্যান্টের ভিতরে বক্তৃতা করছিলেন ঠিক সেই সময় কয়েক ডজন বিক্ষুব্ধ জনতা বাইরে জড়ো হয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও মহামারি সংক্রান্ত সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। একই ধরনের আরেকটি দল আগের রাতে অন্টারিওর নিউমার্কেটে জড়ো হয়ে লিবারেল স্বেচ্ছাসেবী, সমর্থক ও নেতাকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করতে থাকেন।
তবে বিরোধিতার মুখেও জাস্টিন ট্রুডো তার নীতি থেকে সরবেন না বলে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দেশে ব্যতিক্রমধর্মী ছোট একটি গোষ্ঠী আছে, যারা ক্ষুব্ধ। তারা বিজ্ঞানে বিশ^াস করে না, বর্ণবাদী আচরণ করে ও কুসংস্কার থেকে নারীদের আক্রমণ করে। কিন্তু তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ কানাডিয়ানের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিশেষ এই সার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কথা আমি শুনবো না। আমি তাদের বিক্ষোভকারীও বলতে চাই না। তারা ভ্যাকসিন বিরোধী।
তিনি বলেন, মহামারি থেকে দেশকে উদ্ধার করবে এমন নেতৃত্ব চায় কানাডা এবং নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল তার উপযুক্ত নয়। কারণ, কর্মীদের মধ্যে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান শক্ত নয়।
কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা এরিন ও’টুল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে নিরাপদ ও কার্যকর আখ্যায়িত করে এর প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিনেশনের হার ৯০ শতাংশেল উপরে নেওয়ার যাওয়ার চেষ্টার কথাও বলেছেন তিনি। তবে যারা ভ্যাকসিন নিতে চান না তাদের জন্য র্যাপিড টেস্টিংকে বিকল্প হিসেবে মনে করেন কনজার্ভেটিভ নেতা।
কনজার্ভেটিভ পার্টির ঠিক কতজন প্রার্থী ভ্যাকসিন নিয়েছেন সে তথ্য জানাতে সোমবারও অস্বীকৃতি জানান এরিন ও’টুল। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে জাস্টিন ট্রুডো দেশে বিভাজন সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কারণ তার ভাষায়, অনেকেই ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধায় আছেন। আমি বিশ^াস করি আমরা বনাম তারা মনোভাবের সময় এটা নয়। মি. ট্রুডো সেটাই করছেন।