অটোমেটেড স্পিড এনফোর্সমেন্ট ক্যামেরা নতুন ৫০টি স্থানে বসাতে যাচ্ছে টরন্টো। এ ঘোষণা দিয়ে সিটি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বলেছে, পালাক্রমে এসব ক্যামেরা নতুন নতুন স্থানে বসবে এবং মে মাস থেকে তা চালু হবে। কমিউনিটি সেফটি জোনের মধ্যে স্কুলের কাছাকাছি স্থান, যেখানে যানবাহনের গতি সীমা লঙ্ঘন ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে সেসব স্থানে এগুলো স্থাপন করা হবে। গতিসীমা লঙ্ঘনকারী যানবাহনের ছবি ধারণের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে দুইটি করে ক্যামেরা থাকবে।
গতিসীমা লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ামাত্র গাড়ির মালিকের নামে টিকিট ইস্যু করা হবে। গাড়িটি কে চালাচ্ছিলেন সেটা এখানে বিবেচনায় নেওয়া হবে না। চালকের ঝুলিতে কোনো নেগেটিভ পয়েন্টও যোগ হবে না এতে। টিকিটের পাশাপাশি লঙ্ঘিত গতিসীমার অনুপাতে জরিমানাও কঠোর হবে। ঘণ্টায় প্রতি কিলোমিটার অতিরিক্ত গতির জন্য জরিমানা দিতে হবে ৫ ডলার। নির্ধারিত সীমার চেয়ে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪৯ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালালে জরিমানা গুণতে হবে প্রতি কিলোমিটার/ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ১২ ডলার। তবে ৭২২ ডলারের টিকিটও ইস্যু করা হতে পারে।
২০১৮ সালে চার মাসের পরীক্ষামূলক কর্মসূচি শেষে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এএসই কর্মসূচিটি চালু করে টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ। এবার নতুন ৫০টি স্থানে এএসই ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা এলো। টরন্টো মেয়র জন টরি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে এসেছে তাতে বলা যায়, গতিসীমা লঙ্ঘন থামানোর ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর। যত বেশি এলাকায় সম্ভব, কর্মসূচিটি নিয়ে যাওয়া হবে।