করোনা মহামারির অপ্রতিরোধ্য বিস্তৃতি ঘটায় ক্যুইবেক সরকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কার্ফ্যু জারির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানা গেছে। আর তেমনটি ঘটলে সেটা হবে কানাডায় জন্য সর্বাত্মক প্রথম কোনো পদক্ষেপ। সেজন্য প্রদেশটির প্রিমিয়ার ফ্রাঁসাওয়া লিগাল বুধবার বিকেল ৫টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।
সরকারি এক ভাষ্যে জানা গেছে, প্রদেশটি কার্ফ্যু জারিকে ‘একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধে কার্ফ্যু জারির ঘটনা রয়েছে। লা প্রেসের এক বিবৃতিতে প্রকাশ, চূড়ান্ত কোনো ঘোষণায় যাওয়ার আগে প্রাদেশিক কর্মকর্তারা পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় কার্ফ্যু জারি নিঃসন্দেহে একটি অতিশয় বড় ও ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারি প্রতিরোধে তা আরোপ হয়েছে বলে দৃষ্টান্ত রয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া, প্যারিস, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক ও ওহাইওতে কার্ফ্যু জারি হয়েছে।
তবে ক্যুইবেকের এমন চিন্তা-চেতনা স্ফূরণের আগে অন্টারিও প্রদেশটিও তা নিয়ে ভেবেছে, যখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। ম্যানিটোবা প্রিমিয়ার ব্রায়েন পালিস্টারও গত নভেম্বরের শুরুতে তা নিয়ে ভেবেছেন, যখন সেখানে করোনার প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যায়।
এতো কিছুর পরও ক্যুইবেকের এই কার্ফ্যু আরোপকে কানাডায় পুরোপুরি প্রথম কোনো কার্ফ্যু জারি করা হচ্ছে বলে বলা যাবে না। কারণ, গত বসন্তে ক্ষুদ্র পরিসরে ক্যুইবেকের নুনাভিকের হ্যামলেটসে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কার্ফ্যু জারি করা হয়, যখন সেখানে প্রথম কোনো করোনা রোগি শনাক্ত করা হয়।