টরন্টোতে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার মানুষ। এর অর্ধেকই অর্থাৎ ২৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন গত দুই মাসে। টরন্টো স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. এইলিন দ্য ভিলা বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
দ্য ভিলা যেদিন এ পরিসংখ্যান দিচ্ছিলেন সেদিনও অর্থাৎ বুধবারও টরন্টোতে নতুন করে ৮৫০ জন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়। এদিন মারা যান ১৯ জন। এছাড়া ২৮১ কোভিড রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী এক তরুণও আছেন তাদের মধ্যে।
দ্য ভিলা বলেন, ২৫ জানুয়ারি থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত টরন্টোতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী ছিলেন ২৫ হাজার। সংখ্যাটি দ্বিগুন বা ৫০ হাজারে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ১৪ সপ্তাহ। আমরা কোথায় আছি, এ পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে। দুঃখজনক হলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে সাপ্তাহিক সনাক্ত রোগী ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হারও আগের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে দ্য ভিলার বক্তব্য, পরিসংখ্যানে যা দেখানো হচ্ছে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। কারণ আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকের মধ্যে এর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আসন্ন বড় দিনের ছুটিতে এটাই উদ্বেগের সবচেয়ে বড় কারণ এবং টরন্টোবাসী আগামী কয়েক সপ্তাহ যদি নিজেদেরকে আলাদা করে না রাখতে পারেন তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
টরন্টোতে প্রথম কোভিড রোগী সনাক্ত হয় ২৫ জানুয়ারি। এরপর এপ্রিলের শুরুর দিকেই আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারে পৌঁছে যায়। আর মে মাসের শেষ দিকে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় এর ১০ গুণ।
টরন্টোর মেয়র জন টরি বুধবার বলেন, বড় দিনের ছুটিতে সবারই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলা জরুরি। পরিবারের সদস্যদের বাইরের লোকজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের পরিকল্পনা যদি কেউ করেও থাকেন এখন তাতে পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ, বড় দিনে জনসমাগম যত বেশি হবে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণও তত বাড়বে। এর ফলে হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়বে। সেই সঙ্গে আরও বেশি প্রাণহানী হবে।
Comments